COOPERATION & HUMANITY OF SWILS - MD. FERDOUS RAHMAN




আসসালামু আলাইকুম, 

আমার আজকে অফিসে যাওয়ার ইচ্ছে থাকা এবং মানসিক ভাবে ফিট থাকা সত্যেও, শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকাতে যাইনি, এমনিতে বাসায় বসে অনলাইনের মাধ্যমে অফিসের আপডেট নিচ্ছি।


আমার আপনাদের কাছে কিছু প্রশ্ন? মহান "আল্লাহ" আসলে আমাদের পাঠিয়েছেন কেন? তার অনেক গুলো কারণ হতে পারে। 


গতকাল রাত থেকে আমরা হয়তো কিছু প্ল্যান করেছি, কারণ আজ সাপ্তাহিক ছুটির দিন ---


১. কেউ অফিস থেকে হাফ বেলা ছুটি নিয়ে বাড়ি যাবে।

২. কেউ শুক্রবার কলিগদের নিয়ে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবে।

৩. কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যাবে

৪. কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকা শহর ঘুরবে।

৫. কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে শপিংমলে বিভিন্ন জামাকাপড় কিনতে যাবে।

৬. কেউ আজকে সকালে গরুর গোশত অথবা মুরগীর গোশত অথবা দুটোই কিনতে গিয়েছেন, আজকে মা অথবা স্ত্রীর হাতের মজাদার রান্না খাবে।

৭. কেউ আজকে তার পছন্দের গাড়ি কিনতে যাবে। 

৮. কেউ আজকে তার পছন্দের ফ্ল্যাট কিনতে যাবে।


ইত্যাদি, ইত্যাদি, ইত্যাদি, 


আপনারা কি কেউ আমাকে এই প্রশ্নের উত্তর দেবেন?

আপনি কি জানেন? আপনার ফ্লাটের এক পরিবারের আজ অনেক দিন হলো চাকরি নাই?


আপনি কি জানেন? যে বন্ধুর সাথে এক সাথে বড় হয়েছেন, তার বাসায় বাজার নাই?


আপনি কি জানেন? একই সংগে যে কলিগের সাথে কাজ করেছেন, করোনার কারণে হোক অফিস পলিটিক্সের কারণে হোক, দীর্ঘদিন যাবত সে বাসায় বসা? সে ফ্ল্যাট থেকে টিনশেডে গিয়ে উঠেছেন? গতকাল রাতে তার বাচ্চারা তাকে গোশত খাওয়ার দাবী জানিয়েছে, সে বলেছে আনবে বলে রাস্তায় বের হয়েছে, কিন্তু কোথা থেকে টাকা পাবে সেটা চিন্তা করতে করতে রাস্তার পাশে বসে ভাবছে?

আপনি আজকে যে টাকা খরচ করে কেনাকাটা করবেন, তা দিয়ে আপনার সেই বন্ধুর একমাস বাজার চলবে। 

আপনি আজকে যে টাকা দিয়ে একবেলার খাবার খাবেন, ওই টাকা দিয়ে আপনার সেই কলিগের ৭ দিন বাজার চলবে।

সেটা কি চিন্তা করার আমাদের কোনো প্রয়োজন আছে? না নেই, কারণ ওটা "আল্লাহর" কাজ, নাকি?

আমাদের প্রিয় নবী, এধরার সকল উম্মতকে নিয়ে তিনি চিন্তা করতেন, তার সমাজের প্রত্যেকের বাসার পাতিলের খবর তিনি রাখতেন, অনেকের বাসায় খাবার নেই চিন্তা করে বাসায় খাবার থাকা সত্যেও অনেক বেলা না খেয়ে দিন পার করেছেন। আর আমার ফ্লাটের নিচতালার বা উপরতলার ভাই আলুভর্তা দিয়ে খাচ্ছে, আর আমার বাসায় আজকে খাবার টেবিলে তরকারির পেয়ালার মেলা বসবে।


আমি লেখা গুলো লেখার সময় কেদেছি, এই সময় আমি আমার মহান "আল্লাহর" কাছে চেয়েছি- হে "আল্লাহ" আমার ভাইদের পাশে দাড়ানোর ক্ষমতা আমাকে দিও। আর আপনারা কি করবেন, সেটা আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজেকে নিয়ে ৩০ সেকেন্ড ভাবুন। কারণ ঘড়ির কাটা কিন্তু প্রত্যেক সংখার দিকেই ঘোরে, এবং সময়কে পরিবর্তন করে। 


হে "আল্লাহ" দেশের বিপদে পড়া মানুষদের হেফাজতে রাইখো। 



মোহাম্মদ ফেরদৌস রহমান

মেনেজার, স্টোর, ডিবিএল গ্রুপ 

(SWILS Member)

1 Comments

  1. আসলেই আমরা খুব সার্থপর মানুষ।স্যার আপনার লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। দুয়া করি এভাবেই আপনি সবার পাশে এগিয়ে যেনো যেতে পারেন। আমরাও যেনো আপনার পাশে একটু হলেও থাকতে পারি সেই দুয়া করি আমিন।

    ReplyDelete